মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে মাসুম বিল্লাহ:
বিয়ের নামে বানিজ্য ও প্রতারনার অভিযোগে চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মো. মারুফ শেখ (৪০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরনখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল খুলনার দামুদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারককে আটক করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাগেরহাটের শ্রীঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত রমজান আলী শেখের ছেলে মো. মারুফ শেখ ১৯৯৬ সালে বিডিআরের ১৬ রাইফেল ব্যাটালিয়ানের সিপাহী পদে রংপুরে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে খুলনার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালাম সর্দারের মেয়ে নুপুর আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের বছর দুই পর নুপুরের সাথে মারুফের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৪ সালে অনৈতিক কর্মকান্ডের দায়ে বিডিআর হতে চাকুরীচ্যুত হয় সিপাহী মারুফ। এরপর থেকেই নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর, র্যাব ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানাভাবে প্রতারনার জাল বুনতে শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে মারুফ সুন্দরবন সংলগ্ন শরনখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. সোবাহান মিয়ার মেয়ে সালমা আক্তারকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে একই ইউনিয়নের সোনাতলার গ্রামের বাসিন্দা মো. মনা মল্লিকের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার, ২০২০ সালে শরনখোলা গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হাওলাদারের মেয়ে কারিমা আক্তার, উত্তর তাফালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আ. বারেক ব্যাপারীর কন্যা মারুফা আক্তার এবং সর্বশেষ তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. সুলতান জোমাদ্দারের মেয়ে জেসমিন আকতার (২৬) কে বিয়ে করেন। প্রতারক মারুফ তার আসল নাম ঠিকানা ও পিতৃপরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করে প্রত্যেক শ্বশুরালয় থেকে নানা কৌশলে ৫ থেকে ১৪ লাখ টাকা সহ অনেক স্বর্নলংকার হাতিয়ে নিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রী জেসমিনকে কিছু না-বলে হঠাৎ উধাও হয়ে যান মারুফ এবং সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে প্রতারনার অভিযোগ তুলে চলতি বছরের ১৫ জুন শরনখোলা থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার অনুসন্ধান করতে গিয়ে মারুফের বিয়ে বানিজ্যের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ ।
শরনখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, জেসমিনের দায়ের করা মামলা অনুসারে মারুফের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে তিনি চারটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছে।